শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

কালিয়ায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা 

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি 

কালিয়ায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা 

স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে লড়াইলকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ার চালিতাতলা গ্রামে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তিনদিন পর গত রোববার রাতে কাদের গ্রুপের সমর্থক আকিদুল মোল্যা বাদি হয়ে ২৭ জনের নামে মামলাটি করেছেন। 

এছাড়া কাক্কা গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।  উপজেলার চালিতাতলা গ্রামে গত শুক্রবার এ ঘটনায় নারীসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫জন আহত হন। মারাত্মক আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কাক্কা মোল্যার লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। 

পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার এই গ্রামটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হমিদপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি কাক্কা মিয়া মোল্যা ও আ.লীগের সমর্থক কাদের মোল্যা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলে আসছে। তারই ধারবাহিকতায় ঘটনার দিন খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার হরিদাশকাটি গ্রামের নেছার আলী মীরের ছেলে সেলিম মীর কাদেরের বাড়িতে একটি জমির ম্যাপ নিতে আসে। 

ম্যাপ নিয়ে  ফেরার পথে কাক্কা মিয়ার সমর্থকদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে তারা সেলিমকে (৩৫) মারপিট করে আহত করলে কাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং রাস্তায় পেয়ে কাদের সমর্থকরা জাকির মোল্যা (৪৫) ও আমিনুর শেখ (৩৮) নামে কাক্কা মোল্যার দুই সমর্থকে মারধর করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

 সংঘর্ষ চলাকালে কাক্কা মোল্যার ছেলে হোসেন মোল্যা লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে গুলিবর্ষন করলে বেবী বেগম (৫০), মিকাইল মোল্যা (৪৫), সরোয়ার মোল্যা (৩৫), রমিম মোল্যা (২৫) ও রবি মোল্যা (৩০) গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। 

কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। কাক্কা মোল্যার লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে। কাক্কা গ্রুপের কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

টিএইচ